সেদিন এক ফ্রেন্ডের নতুন বাসায় গিয়েছিলাম। তাদের বাসাটাও আমাদের মতো খুব অল্প জায়গার উপর বানানো।কিন্তু আমার কাছে কেনো যেনো মনে হচ্ছিলো বাসাটায় অনেক স্পেস এবং খুব সুন্দর করে সাজানো-গোছানো। আমি তো পুরো অবাক! বন্ধু কে জিজ্ঞেস করতেই তার উত্তর “সবই ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের অবদান। অনেক ধৈর্য্য আর সময় নিয়ে সবকিছু প্ল্যান করেছে।“ তখন থেকেই আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে ইন্টেরিয়র ডিজাইন কি, এর গুরুত্ব কেনো এতো অপরিসীম? চলুন উত্তরগুলি নিজেরাই খুঁজে বের করি তাহলে।
ইন্টেরিয়র ডিজাইন কি?
এর সহজ উত্তর খুঁজতে গিয়ে গুগলে পেজের পর পেজ স্ক্রল করে যা জানতে পারলাম তা আমার নিজস্ব ভাষায় আজ আপনাদের জানাবো। অনেকেই কিন্তু ভাবেন বাসা বা অফিস যেমন আছে, তন্মধ্যে সোফা-
কার্পেট বা আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র সুন্দর করে গুছিয়ে রাখার নামই হয়তো ইন্টেরিয়র ডিজাইন। কিন্তু আসলেই কি তা? চলুন আমরা একটি সংজ্ঞা দেখি নিই
According to Merriam-Webster, Interior Design is the art or Practice of Planning and Supervising the Design and Execution of Architectural Interiors and Their furnishings.
অর্থাৎ ইন্টেরিয়র ডিজাইন হলো একটি আর্ট যা আপনার বাসার আভ্যন্তরীণ ডিজাইন, প্ল্যানিং করতে সাহায্য করে। আরো সহজ ভাষায় যদি বলি, প্রতিটি স্থানকে কাজে লাগিয়ে আসবাব, লাইট, গৃহসজ্জা সামগ্রীর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বাড়ি, অফিস বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে আরামদায়ক ও নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করাই ইন্টেরিয়র ডিজাইনের প্রধান লক্ষ্য।
ইন্টেরিয়র ডিজাইন একটি দক্ষ ডিসিপ্লিন। ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রফেশনাল ট্রেইনিং নিতে হবে। এছাড়াও ডিজাইনের উপর আপনার আগ্রহ, সমগ্র বিশ্বের ডিজাইনের আপডেট সম্পর্কে ধারণা থাকাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সম্পর্কেও আপনার পূর্ণ জ্ঞান থাকাটা খুব ই জরুরি। যেমন, লাইটিং, সিস্টেম, ভার্টিকেল এবং হরাইজন্টাল সারফেস ইত্যাদি।
ইন্টেরিয়র ডিজাইনের শুরুর গল্প – Beginning Story of Interior Design
ইন্টেরিয়র ডিজাইন পেশাটি ১০০ বছরের ও অধিক পুরনো। ১৯০০ সালের গোড়ার দিকে আমেরিকাতে প্রথম “ইন্টেরিয়র ডেকোরেটর” শব্দটির ব্যাবহার শুরু হয়। কিন্তু তখন ও এর পেশাগত যাত্রা শুরু হয়নি। ১৯১৩ সালে এলসি ডি ওল্ফ ( Elsie de Wolfe ) প্রথম ইন্টেরিয়র ডিজাইনের উপর বই একটি বই প্রকাশ করেন যার নাম ছিলো “দ্যা হাউজ ইন গুড টেস্ট” ( The House in Good Taste ) এরপর ১৯২৩ সালে ডেরথি ড্রাপার ইন্টেরিয়র ডিজাইনের উপর প্রথম একটি ফার্ম তৈরী করেন এবং পরবর্তীতে ১৯২৫ সালে এটি বাণিজ্যিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ নেয়।
ইন্টেরিয়র ডিজাইনের গুরুত্ব – The Importance of Interior Design
চলুন গুরুত্বগুলি আমরা ছোট কিছু পয়েন্ট আকারে জেনে নিই। যদিও এর গুরুত্ব কিন্তু মোটেও ছোট বা কম নয়।
- আপনার বাসাটি খুবই ছোট কিন্তু আপনি চাচ্ছেন তুলনামূলক আভ্যন্তরীণ স্পেস ড়াতে এবং চমৎকার করে সাজাতে? তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন ন্টেরিয়র ডিজাইনারের শরণাপন্ন হতে হবে।
- ধরে নিলাম আপনি নিজেই নিজের মেধা খাঁটিয়ে অনেক সুন্দর করে বাসার ভেতর টা সাজিয়েছেন এবং সেটি খুব ই চমৎকার হয়েছে কিন্তু আপনি বেডরুম কালার করতে গিয়ে দেয়ালে সবুজ রঙের সাথে জানালাগুলিতে লাল রঙ ব্যাবহার করলেন যেটি আপনার পুরো পরিশ্রমকেই বৃথা করে দিলো। তাই কালার কারেকশন ও খুব ই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।
- কথায় আছে “প্রথমে দর্শনদারি তারপর গুনবিচারী”। তাই বন্ধু, আত্মীয়, পাড়া-প্রতিবেশীর সামনে আপনার রুচি, আপনার পছন্দ তুলে ধরতে অবশ্যই আপনার বাসাটিকে চমৎকার ভাবে সাজাতে হবে।
উপসংহার – Conclusion
যারা মন ও মননশীলতায় শিল্প ধারণ করেন তারা কম খরচে, কম সময়ে প্রফেশনাল ইন্টেরিয়র ডিজাইন ফার্ম এর সাথে যোগাযোগ করে নিজের বাসাটিকে সাজিয়ে নিতে পারেন একদম মনের মতো। ইন্টেরিয়র ডিজাইন আপনার বাসার সৌন্দর্য বাড়াতে যাদুর মতো কাজ করে। আপনার বাসার স্পেস কম? আপনার ছোট বাসায় চমৎকার একটি আউটলুক দিতে চাচ্ছেন? আপনি কোনভাবেই কালার কারেকশন করতে পারছেন না? বা কোনভাবেই আপনার বাসার পেইন্টিং, কালার, টেক্সচার এর ভারসাম্য করতে পারছেন না? এসব সমস্যার একটাই সমাধান আর তা হলো “ইন্টেরিয়র ডিজাইন”।
Pingback: বাংলাদেশের ৫টি সেরা ইন্টেরিয়র ডিজাইন ফার্ম - Best 5 Interior Design Firm In Bangladesh
It’s very helpful content for both who are designer and clients who want to design his space,
thank you
Pingback: Definition Of Interior Design: Basic Principles And Practices With 25 Book Suggestions